November 21, 2024

আনারসের রপ্তানিতে বাণিজ্যে নতুন আলো দেখছেন চাষি সম্প্রদায়

প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে মৌসুমি ফল আনারসের ছোট একটি চালান রপ্তানি হয়েছে। মূলত টাঙ্গাইলে উৎপাদিত হয়েছে এই আনারস। গত শনিবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে কনটেইনারের মাধমে এই চালানটি রপ্তানি করা হয়। আনারস রপ্তানিকারক রাশেদুর রহমান জানান দুবাইয়ে আনারসের বাজার মূলত ফিলিপাইন, ভারত, ইকুয়েডর ও আফ্রিকার দেশগুলোর দখলে। দুবাইয়ে টাঙ্গাইলের আনারসের এইটি মূলত পরীক্ষামূলক চালান। সফল হলে মৌসুমের সময় আনারস রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। আনারস মূলত রপ্তানি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ভেজিটেবলস অ্যান্ড ফ্রুটস ট্রেডিং কোম্পানিতে। রপ্তানি করা আনারসের পরিমান ৭২ কেজি।

দেশি জাতের আনারস পাকার পর বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। পাকার পর মেয়াদ থাকে বড়জোড় এক সপ্তাহ। এরপরই পচে যায়। তবে আনারসের নানা বিদেশি জাত এনে দেশে চাষ হচ্ছে। এই আনারস প্রাকৃতিকভাবেই দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়। টাঙ্গাইলে এই আনারসের চাষ হচ্ছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশে বছরে দুই লাখ টন আনারস উৎপাদন হয়। তবে সংরক্ষণে অভাবে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আনারস নষ্ট হয়ে যায়। রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক জানান চট্টগ্রামে যেহেতু সমুদ্রবন্দর রয়েছে, সে জন্য এখানে উন্নত মানের প্যাকিং হাউস ও সংরক্ষণাগার তৈরি করা গেলে আনারসের মতো মৌসুমি তাজা ফলের রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *