October 13, 2025

ফাইনালে উঠতে ১৩৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে

সংস্থা: হারলেই বিদায়। জিতলে এশিয়া কাপে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে খেলার সুযোগ। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে ইনিংসের শুরুতেই কোণঠাসা করে দেয় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ৫ রানে দুই উইকেট নেয় টাইগাররা। ৪৯ রানে পাকিস্তান হারায় ৫ উইকেট।

১৩.৩ ওভারে ৭১ রানে পাকিস্তানের ৬ উইকেট পতনের পর; মনে হয়েছিল একশ রানেই গুঁটিয়ে যাবে সালমান আলি আগারগ নেতৃত্বাধীন দলটি। কিন্তু লেট অর্ডারে মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজ মারকাটিং ব্যাটিং করে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে নিয়ে যান। তাদের কারণেই ১২০ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।

দলের হয়ে ২৩ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন হারিস। মাত্র ১৫ বলে এক চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন নওয়াজ। ১৩ বলে ১৯ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৩ বলে ১৯ রান করেন অধিনায়ক সালমান আলি আগা। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী হাসান।

আগামী রোববার এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের সঙ্গে খেলতে হলে বাংলাদেশকে ১২০ বলে ১৩৬ রান করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াামে টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান শিবিরে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন বাংলাদেশ দলের গতিময় পেসার তাসকিন আহমেদ। তার করা ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। তিনি চার বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন।

এরপর দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন শেখ মেহেদি হাসান। তিনি ওভারের চতুর্থ বলে সাইম আইয়ুবকে সাজঘরে ফেরান। তার বিদায়ে ১.৪ ওভারে ৫ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্রথম দুই ওভারে ২ উইকেট পতনের কারণে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২৭ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। ৬.৩ ওভারে দলীয় ২৯ রানে ফেরেন পাকিস্তানের বর্তমান দলের অন্যতম সেরা এবং অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফখর জামান। তিনি রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন। তার আগে ২০ বলে মাত্র ১৩ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এই ওপেনার।

এরপর নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই পাকিস্তান মিডঅর্ডার ব্যাটসম্যান হুসাইন তালাতকে আউট করেন রিশাদ হোসেন। তার বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে দলীয় ৩৩ রানে ফেরেন তালাত। তিনি ৭ বলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ১০.৫ ওভারে দলীয় ৪৯ রানে ফেরেন পাকিস্তানের অধিনায়ক আগা সালমান। তিনি ২৩ বলে মাত্র ২০ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন। ইনিংসের শুরু থেকে ব্যাটসম্যানদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলের কারণে ১১ ওভারে ৫১ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।

রিশাদ হোসেনের করা ১২তম ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে শাহিন আফ্রিদির সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। পরের বলে পাকিস্তান ব্যাটসম্যান বেঁচেছেন আম্পায়ার্স কলের কারণে। আর পঞ্চম বলে আকাশে তুলেও মেহেদী হাসানের ব্যর্থতায় বেঁচে গেছেন আফ্রিদি। ১ রানে প্রথম দুবার বেঁচে যাওয়া আফ্রিদি তৃতীয়বার বেঁচেছেন ২ রানে।

১৩.৩ ওভারে দলীয় ৭১ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এরপর মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর মোটাতাজা করেন। তাদের কারণেই ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *