October 13, 2025

বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা

এজেন্সি: নেতৃত্ব মানবসমাজের স্থিতিশীলতা, ন্যায়বিচার এবং মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার অন্যতম মূল ভিত্তি। একজন যোগ্য নেতাকে নির্বাচন বা নিযুক্ত করা কেবল রাজনৈতিক বা নাগরিক কর্তব্য নয়—এটি এক নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্বও বটে। বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলো—খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম, ইহুদি ধর্ম, হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম—প্রতিটিই নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে একজন নেতা কেমন হওয়া উচিত এবং সমাজের মানুষ কীভাবে তাঁদের নির্বাচন করবে। নিচে এসব মৌলিক শিক্ষার মূলভাবকে সংক্ষেপে তুলে ধরে আজকের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের প্রাসঙ্গিকতা আলোচনা করা হলো।

খ্রিস্টীয় শিক্ষায় নেতৃত্বকে মূলত সেবামূলক দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। বাইবেলের নতুন নিয়মে যিশু খ্রিস্ট বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বড়, সে-ই তোমাদের সেবক হবে” (ম্যাথিউ ২৩:১১)। পাস্তোরাল গ্রন্থগুলোতে নেতার জন্য নির্দোষতা, আত্মসংযম, অতিথিপরায়ণতা ও শিক্ষাদানের ক্ষমতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে (১ তিমথি ৩:২)। অতএব খ্রিস্টীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্য নেতৃত্ব মানে বিনয়, করুণা, ন্যায়পরায়ণতা এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ মনোভাব।

ইসলামে নেতৃত্বের মূল ভিত্তি হলো ন্যায় ও পরামর্শ (শূরা)। কুরআনে বলা হয়েছে, “আমানত তার প্রাপকের কাছে পৌঁছানো এবং বিচারকরা ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করবে”— এটাই আল্লাহর আদেশ (সূরা নিসা ৪:৫৮)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে দুর্নীতিগ্রস্ত বা অযোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করা উচিত নয়; বরং জ্ঞান, সততা (আমানাহ) ও জবাবদিহিতাই ইসলামী নেতৃত্বের মূল মানদণ্ড। অতএব মুসলিম সমাজে ভোটার ও নাগরিকদের কর্তব্য হলো সৎ, জ্ঞানী ও ন্যায়পরায়ণ প্রার্থীদের সমর্থন করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *