রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভাপা পিঠা জানান দিচ্ছে শীতের
শীতের ভোরে গরম-গরম পিঠা কিনতে তাঁর চারপাশে ঘিরে আছেন গ্রামের অনেক নারী-পুরুষ। কেউ পিঠা খাচ্ছিলেন, কেউ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এই দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন শহরের কোণা কাঞ্ছিতে। মোড়ে মোড়ে অস্থায়ীভাবে পিঠার দোকান দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা। দুই সপ্তাহ ধরে বেশি শীত অনুভূত হওয়ায় অস্থায়ী দোকানগুলোতে শীতকালীন পিঠার কদর বেড়েছে। নারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কের মোড়ে পিঠার দোকানদার হিসেবে পুরুষের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে পৌর শহরের পূর্ব পাড়া এলাকায় সকাল ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন অলিগলিতে ২০টির বেশি পিঠার দোকান বসে। পিঠার দোকানি নূরজাহান বেগম বলেন, ‘সকালে ৩০০টার মতো পিঠা ব্যাচা হয়। এ্যাকটা পিঠার দাম পাঁচ ট্যাকা। আর বিকালবেলা দোকানোত পাঁপড়, আলুর চপ ও তেলপিঠা বানাই। ওলাও পাঁচ ট্যাকা করে ব্যাচা হয়। কম দামে পিঠা বেচলে কাস্টমারও বেশি হয়, লাভও বেশি হয়।’
শীতকাল ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও মহল্লায় কিছু নারী তাঁদের বাড়ির গৃহস্থালির কাজ সামলিয়ে সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য পিঠাপুলি বিক্রি করছেন। এটিকে এলাকার অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। শীতকালে নারীদের এমন কাজকে কীভাবে আয়বর্ধক কর্মসূচি হিসেবে নেওয়া যায়, তা নিয়ে ক্যাম্পেইন করার কথা ভাবছেন বলে জানান গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের কর্মসূচি সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। বিরামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহান- এর কাছ থেকে জানা যায় এখন নারীরা তো আর পিছিয়ে নেই। শীতকালে নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকান দিয়ে তাঁরা আয় করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আরও কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি আরও ভালো হবে।