May 20, 2025

বাণিজ্যিকভাবে কচু – লতি চাষেই মুনাফা বেশি চাষিদের

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার কচু ও কচুর লতি বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এখানকার কচু ও লতি খেতে সুস্বাদু, গলায় ধরে না। চাহিদার জোগান দিতে ১২ মাসই এখানে বাণিজ্যিকভাবে এই দুই সবজি চাষ করেন কৃষকেরা। একবার রোপণ করলে ফলন পাওয়া যায় বছরের আট থেকে নয় মাস। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকেরা ঝুঁকছেন এই চাষে। বরুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে উপজেলার মোট ১২০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কচুর চাষ হয়েছিল। বর্তমানে ২৬০ হেক্টরের বেশি জমিতে কচু ও লতির চাষ হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৫ থেকে ২৫ টন পর্যন্ত লতি হয়।

মূলত দুই জাতের কচুর চাষ বেশি হয়, লতিরাজ ও বারি পানি কচু। সরেজমিনে দেখা গেছে, খেত থেকে কচু ও লতি তুলে বাড়ি নিয়ে যান কৃষকেরা। সেগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে আঁটি বাঁধার কাজ করেন নারীরা। উপজেলায় এক হাজারের বেশি নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে এই খাতে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বরুড়ায় এসে কৃষকের বাড়ি থেকে পণ্য কিনে নিয়ে যান। কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম স্বীকার করেন, তাঁদের সঙ্গে রপ্তানিকারকদের যোগাযোগ নেই। যাঁরা এই পণ্য রপ্তানি করছেন, তাঁরা নিজেদের লোক দিয়ে কৃষক পর্যায় থেকে এই সবজি সংগ্রহ করছেন। ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে কাজ করার কথা জানান জেলার জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রেজা শাহবাজ হাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *