চরম ময়লা আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে পায়রা নদী

বরগুনার আমতলী পৌর শহরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে পায়রা নদীতে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকার পরিবেশ। চারপাশের দুর্গন্ধময় বাতাসে দমবন্ধের উপক্রম স্থানীয়দের। পাশাপাশি নদীর পানি ব্যবহার করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত তিন দশকে পৌরসভার উন্নয়নে শতকোটি টাকা ব্যয় হলেও বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন দেখা গেছে, পায়রা নদীর তীরে বর্জ্যের স্তূপ। আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন ব্লকে পায়রা নদী তীর ঘেঁষে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা ফেলছেন। পৌরশহরের সকল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এই নদীতে। এদিকে কাক, মুরগি, কুকুর সেগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করছে। বর্জ্য নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। পলিথিন, চিপস, বিস্কুটের খোসা ভাসছে খালের পানিতে। হাসপাতালে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, কাচের বোতলসহ নানা ধরনের ক্লিনিক্যাল বর্জ্য দেখা গেছে সেখানে।
পায়রা নদী রক্ষায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমতলীর স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভায় বর্জ্য শোধনাগার না থাকায় সব ময়লা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নদীও দূষণ হচ্ছে। এর ফলে নদীতে মাছের আধিক্য কমে গেছে। এই নদীর উপকূলের লোকজন এই পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই দ্রুতই যেন পায়রা নদী বাঁচাতে পৌরসভার জন্য একটি বর্জ্য শোধনাগার তৈরি করা হয়।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘প্রত্যেক পৌরসভায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র থাকতে হয়। বরগুনা সদর ছাড়া অন্য পৌরসভাগুলোতে সেটি নেই। আমরা দ্রুতই সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি ক্রয় বা অধিগ্রহণ করে পৌরসভার নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নেবো।