দেশের প্রায় সব শুটকি মাছই সুরক্ষিত

দেশে উৎপাদিত শুঁটকিতে গড়ে ১৩ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহারের চিত্র পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ৮৭ শতাংশ শুঁটকিই নিরাপদ৷ যে ১৩ শতাংশ শুঁটকিতে কীটনাশক ব্যবহারের চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে রান্নার পর কীটনাশকের মাত্রা অনেক কমে যায় বলে জানিয়েছে গবেষকদল। দেশে সবচেয়ে বেশি সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি উৎপাদন হয় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, দুবলার চরে। স্বাদু পানির মাছের শুঁটকি উৎপাদন হয় নাটোরের চলনবিল ও সুনামগঞ্জে। এসব স্থানে উৎপাদিত শুঁটকি নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এসব শুঁটকিতে গড়ে ১৩ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সেমিনারে গবেষকদল গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান।
বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ২০২২-২৩ সালের ৭টি গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়, তার মধ্যে এটি একটি। এখানে গবেষণার যেসব ফলাফল প্রকাশিত হয়, তা গবেষকের নিজস্ব বিষয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায় নেই। আর এটি দেশের সার্বিক চিত্রও নয়, বরং সামান্য বিষয়। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, শুঁটকি মাছে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাসেল কনভেনশনে ১০টি কীটনাশক নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশে দুটি কীটনাশক ব্যবহার হয়।