গত বারের বন্যার পর এবার মিষ্টি কুমড়োর চরম ফলন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গোমতী নদীর ভান্তির চরে চোখে পড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। এই সবুজের মধ্যে হাসছে মিষ্টিকুমড়া। এ বছর মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনে খুশি কৃষক। বালীখাড়া, কাহেতরা ও পূর্ব হুরা চরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব মিষ্টিকুমড়া জমিতে একসঙ্গে দুই ফসলের একটি। গত বছরের আগস্টে হওয়া ভয়াবহ বন্যায় গোমতী নদীর চর পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছিল। তবে বন্যার সময় চরের কৃষিজমিগুলোতে প্রচুর পলি জমেছিল। বন্যা–পরবর্তী সময়ে আবাদ করায় কৃষিজমির পলির কারণে মিষ্টিকুমড়ার ফলন হয়েছে। শুধু মিষ্টিকুমড়াই নয়, এ বছর আলুরও ভালো ফলন হয়েছে গোমতীর চরে। মিষ্টিকুমড়ার প্রতিটি খেত থেকে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন কৃষক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীরা চরে এসে মিষ্টিকুমড়া কিনে পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
বালীখাড়া এলাকার বাসিন্দা মামুন মিয়া বলেন, ‘আমরার আশপাশের এলাকাডির চরের মইধ্যে এহন খালি কুমড়া আর কুমড়া। এই বছর মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হইছে। কয়েক দিন আগ থ্যাইক্কা বেচন শুরু হয়েছে। আরও এক-দেড় মাস এই কুমড়া বেচাবিক্রি হইব। আমরা চরে কোনো মাচা ব্যবহার করি না। মাটির মইধ্যে গাছের লগে মিষ্টিকুমড়া বড় হয়। এইবার ভালা ফলন হওনে কৃষকরা খুশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, আবহাওয়া ভালো এবং বন্যায় চরের কৃষিজমিতে পলি জমার কারণে এ বছর গোমতীর চরে মিষ্টিকুমড়া ও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের বন্যার পর কৃষি বিভাগ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত যে কৃষকদের সহায়তা করা হয়েছে, সেই তালিকায় চরের আলু ও মিষ্টিকুমড়ার চাষিরা ছিলেন না।