গণ অভ্যুত্থানের পরেও কারখানা খুলে উঠতে পারছে না কর্ত্রীপক্ষ

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় ও পরে যেসব কলকারখানায় ভাঙচুর বা আগুন দেওয়া হয়েছিল নানান কারণে সেগুলো চালু হতে পারছে না। বন্ধ কারখানাগুলোয় প্রায় এক লাখ শ্রমিক কাজ করতেন। এর মধ্যে অনেকগুলো এখনো বন্ধ থাকায় কর্মীরা চরম সংকটে। গত সাত মাস ধরে কলকারখানা চালু না থাকায় ব্যাংকগুলো এসব কারখানাকে এলসি খুলতে বা ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা নিতে দিচ্ছে না। তাছাড়া এসব কলকারখানার মালিকরা হয় কারাগারে অথবা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে বিদেশে পালিয়ে আছেন।
গত বছরের আগস্টে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী গ্রুপের পাঁচটি কারখানা পোড়ানো ও লুটপাটের ঘটনায় দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীরের গাজী টায়ার, গাজী ট্যাংক, গাজী পাইপ, গাজী ডোরসসহ বেশ কয়েকটি গুদাম ধ্বংস করা হয়। বেক্সিমকো গ্রুপের বস্ত্র ও পোশাক বিভাগের হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস (এইচআর) অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স খালিদ শাহরিয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে বাঁচাতে কারখানাগুলোর মালিক যেই হোক না কেন, তা পরিচালনা করা জরুরি।’