June 18, 2025

আইসক্রিম বিক্রি করে স্বীকৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দম্পত্বির

সাধারণ নিয়মে শুধু দুধ-চিনি মিশিয়ে হাতে তৈরি আইসক্রিম বানানো শুরু করেন বিশ্বনাথ পাল। আগে বিক্রি হত না বেশি তবে তাই বলে দমে যাননি বিশ্বনাথ পালের স্ত্রী। পরিকল্পনা করেন, এসব উপকরণের সঙ্গে যোগ করবেন কাজুবাদাম, কিশমিশ, সন্দেশ আর দুধের সর। স্বাদের কারণে হু হু করে বাড়তে থাকল তাঁদের বানানো আইসক্রিমের বিক্রি। বর্তমানে এর খ্যাতি কেশবপুরের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রায়ই কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাঁকে আইসক্রিম দিতে চাইতেন না। তখন থেকে জেদ করেন, নিজেই আইসক্রিম বানিয়ে বিক্রি করবেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী কাকলির রেসিপি অনুসরণ করে আইসক্রিম তৈরি করে ভালো ফল পেয়েছেন।

সেটিকে বেশ সুস্বাদু বলে স্বীকৃতিও দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। প্রথমে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা এ আইসক্রিম খেয়ে ভালো বলত। তারপর ধীরে ধীরে এর সুখ্যাতি ছড়াতে থাকে। একবার ব্যবহারের উপযোগী কাপের আকারভেদে আইসক্রিমটি ১০ ও ২০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে শুরুর দিকে এগুলোর দাম ছিল ২ ও ৫ টাকা। প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আইসক্রিমের দামও বাড়ানো হয়েছে দাবি করে বিশ্বনাথ বলেন, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০টি আইসক্রিম বিক্রি করেন। দুই ঈদের সময় এ আইসক্রিমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। তখন কষ্ট বেশি হলেও আইসক্রিম তৈরি করতে ভালোই লাগে। এ ছাড়া অনেকেই পাইকারি দরে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও আপাতত তাঁরা নিজেরাই এ আইসক্রিম বেচতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *