ভয়ঙ্কর রূপ কাটিয়ে সাধারণ অবস্থায় ফিরেছে গোমতী নদী

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সংরাইশ এলাকায় গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ সড়কে গত বৃহস্পতিবারের চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন। আতঙ্কগ্রস্ত চরের বাসিন্দারা নিজেদের সর্বস্ব রক্ষায় নদীর বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে বাঁশ গেড়ে পলিথিন বা ত্রিপল দিয়ে বানাতে থাকেন খুপরি ঘর। আজ সকাল নয়টার দিকে সংরাইশ এলাকায় নদীর চরে গিয়ে কথা হয় সেখানে একটি টিনের ঘরে বসবাস করা সত্তরোর্ধ্ব নারী আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার এই বৃদ্ধার চোখেমুখেই দেখা গিয়েছিল আতঙ্কের ছাপ। পাশের অরণ্যপুর এলাকায় গোমতী নদীর চরের নিচু জমিতে একটি রেস্তোরাঁর স্থাপনা বৃহস্পতিবার সকালে পানিতে তলিয়ে ছিল। আজ সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, পানি নেমে যাওয়ায় স্থাপনাগুলো ভেসে উঠেছে। পানি নেমে যাওয়ায় একই এলাকার চরের নিচু কৃষিজমিগুলো ভেসে উঠেছে। এতে সেখানকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আজ সরেজমিনে গোমতী নদীর কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর, জগন্নাথপুর, সংরাইশ, বানাসুয়া, অরণ্যপুরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে বৃহস্পতিবার নির্মাণ করা অন্তত ২০টি খুপরির একটিও দেখা যায়নি। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে চরের অনেক বাসিন্দা ঘরের মালপত্র নদীর বেড়িবাঁধ সড়কে এনেছিলেন, সেগুলোও এরই মধ্যে ঘরে ফিরিয়ে নিয়েছেন সবাই। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল, গোমতী নিয়ে সেটি এরই মধ্যে কেটে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, কুমিল্লায় বর্তমানে বৃষ্টির পরিমাণ শূন্য। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে কুমিল্লা জেলাও আছে।