দেশে বনাঞ্চল কমায় কমছে বন্য প্রাণের সংখ্যা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় বনাঞ্চলে একসময় হরিণ ছিল ১০-১২ হাজার। সেই সংখ্যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪০০ মাত্র! অন্যান্য বন্যপ্রাণী ও গাছ-গাছালির সংখ্যাও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করতে উপকূলীয় বনাঞ্চল ধ্বংস করায় হরিণ কমেছে বলে জানান উপকূলীয় রেঞ্চ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা। মিরসরাই উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী, ইছাখালী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নের উপকূলীয় অঞ্চলের ২২ হাজার ৩৩৫ একর বনাঞ্চল নিয়ে নেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
সাহেরখালী ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আগে উপকূলীয় বনাঞ্চলে অসংখ্য হরিণ দেখা যেতো। কিন্তু জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে উপকূলীয় বনাঞ্চল ধবংস করায় হরিণগুলো আশপাশের উপজেলা সুরবর্ণচর ও হাতিয়ায় চলে গেছে। তবে মাঝে মধ্যে মরা কিংবা আহত অবস্থায় কয়েকটি হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগকে খবর দেন স্থানীয়রা। চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মিরসরাইয়ে আগে হরিণ অনেক বেশি ছিল, এটা স্বাভাবিক। এটি ইকো সিস্টেমের অংশ। খাদ্য যখন বেশি থাকবে বন্যপ্রাণীও বেশি থাকবে। এখন বন কমে গেছে, হরিণও কমে গেছে। তিরি আরও বলেন, আমরা মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে এক থেকে দেড় হাজার নতুন বন সৃষ্টি করেছি। আমরা যদি এই বন রক্ষা করতে পারি, আবারও হরিণের বাসস্থান ফিরিয়ে আনতে পারবো।