ডাক্তার হয়ে গরিবের সেবায় মনোনিবেশ করতে চান

সদ্য ঘোষিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৭৮তম স্থান নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া ঈদগাঁওর জালালাবাদের খালেদ বিন রশিদ তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা বলে জানান যে, ‘কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নই গ্রাম অধিকাংশ গ্রামের মানুষ হতদরিদ্র। হাতেগোনা যে কয়েকটি হাসপাতাল বা ক্লিনিক রয়েছে সেটাও ঈদগাঁও বাজার এলাকায়। অসুখের সময় হতদরিদ্র মানুষগুলোর এতদূরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। ছেলেবেলা থেকে দেখে এসেছি, মোটা অংকের ডাক্তার ফি ও অধিক চিকিৎসা ব্যয়ে দরিদ্র মানুষগুলো ঠিকমতো ওষুধও কিনে খেতে পারেন না। বাবাকে দেখেছি, নীরবে মানুষের সহায় হতে। এক কথায় আমি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।’
অপরদিকে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৬৯তম স্থান অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন চকরিয়ার তানহা তাজরিয়া ইরিন। তিনি সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রয়াত মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও গৃহিণী এশরাক জাহান জেসমিনের মেয়ে। ইরিন চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পিএসসি ও ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে চতুর্থ স্থান এবং ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৫তম স্থান অর্জন করে উত্তীর্ণ হন। এছাড়াও জেএসসি ও প্রাথমিক সমাপনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন ইরিন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে তানহা তাজরিয়া ইরিন বলেন, আমার বাবা ও দাদা সমাজকে আলোকিত করতে অনেক অবদান রেখে গেছেন। তাদের মেয়ে ও নাতনি হিসেবে এলাকায় সবার স্নেহ এখনো পাচ্ছি। তাদের সেই ধারা অব্যাহত রাখতে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হয়ে এলাকার অবহেলিত মানুষের সেবা দেওয়ার ইচ্ছা আমার। মানবিক ডাক্তার হয়ে বাবা-দাদা ও মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।