May 20, 2025

তরমুজ চাষে লাভবান চাষীরা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের চরাঞ্চলে বাণিজ্যিক তরমুজ চাষে বিপ্লব ঘটেছে। এবার প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শত কোটি টাকার তরমুজ বাজারজাত হওয়ার আশা কৃষকদের। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ইছাখালী, মঘাদিয়া, মায়ানী ও সাহেরখালী ইউনিয়নে প্রায় ১২০০ একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ইছাখালীতে প্রথম তরমুজ চাষ করেন। ফলন ভালো হওয়ায় পরের বছর আরও কয়েকজন চাষ করেন। তরমুজ চাষি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখানে চাষাবাদ ও বাজারজাত করার সুবিধা আছে।

এ ছাড়া দোঁআশ মাটি থাকায় তরমুজ চাষ করেছি। আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও আছে এসব তরমুজের চাহিদা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা সরাসরি ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনতে আসা শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে চাষের পরিধি বাড়ছে। এবার ১২০০ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। তরমুজ চাষে পরিশ্রম বেশি হলেও ৩ গুণ বেশি লাভ হয়। সুবর্ণচর উপজেলার চাষিরা এখানে তরমুজ চাষ করছেন। আবহাওয়া এবং বাজারে দাম ভালো থাকলে ৩৫-৪০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *