রেশম পল্লির মুখরতা নেই, বন্ধ হবার মুখে শিল্প

ঈদ ঘিরে খট খট শব্দে মুখর থাকার কথা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হরিনগর রেশম পল্লি। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। তেমন কোনো কর্মচঞ্চলতা নেই সেখানে। পৃষ্ঠপোষকতা না বাড়ালে এ ব্যবসার মন্দাভাব কাটবে না। এমনকি একই গ্রামে দুই বছরে বন্ধ হয়েছে প্রায় ১ হাজার তাঁত ঘর। শিবগঞ্জের হরিনগর তাঁতিপাড়া গ্রামের গৌরর চন্দ্র দাস বলেন, রেশম পল্লির সুতো চিন থেকে আসে। দাম অনেক চড়া। কেজি প্রতি আমাদের এ সূতো কিনতে হয় সাড়ে ৯ হাজার টাকা দরে। এক কেজি সুতোয় তিনটি শাড়ি বানানো সম্ভব। আর শ্রমিক খরচতো আছেই। এতে একটি শাড়ির খরচ পড়ে যাচ্ছে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু সে অনুযায়ী বাজারে বিক্রি নেই।
এতে আমরা সুবিধা করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হচ্ছে কারখানা। আলি হাসান নামে আরও এক তাঁত শ্রমিক বলেন, এখানকার রেশম সিল্কের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবির, বেনারশী, গরদের কাপড়, মটকা, ওড়না, সালোয়ার কামিজ মূলত মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তদের পোশাকের চাহিদা মেটায়। কিন্তু এখন সেদিন পাল্টেছে। এখন আর কেউ বেশি দাম দিয়ে এসব পোশাক কিনতে চাচ্ছে না। দি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, আগে দেশের যে রেশম সূতো দিয়ে কাপড় তৈরি হতো, তা উঠে গেছে ৩০ বছর আগেই। এখন চিন থেকে আসা সূতো দিয়ে কাপড় তৈরি করছেন তাঁত মালিকরা। বর্তমান সময়ে দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা কমে গেছে রেশম শিল্পের। এতে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত পল্লিগুলো।