লোহার ব্যবসাতে ভরাডুবি হচ্ছে লোহাপট্টি তে

যশোরের বহুল পরিচিত লৌহজাত পণ্যের মোকাম ‘লোহাপট্টি’ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে লোহা। প্রতি বছরই কমছে লোহার দোকানের সংখ্যা। বছরে অর্ধশত কোটি টাকা লেনদেন হওয়া মার্কেটে এখন লেনদেন নেমে এসেছে ৩০ কোটির নিচে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশ কিছু সংকট-সীমাবদ্ধতার কারণে লোহাপট্টি ছেড়ে লোহার ব্যবসায়ীরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছেন। ইতিহাস ঘেঁটে এবং পুরোনো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যশোর শহরের বড় বাজারের গোহাটা সড়কে লোহার কারবারের গোড়াপত্তন ঘটে বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকে।
লোহাপট্টিতে লোহার রড, পাইপ, নাট-বল্টু, বিয়ারিং, শেপ, ঢালাই লোহা, ইঞ্জিন বক্স, বিভিন্ন মেশিনারিজের যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে লৌহজাত এমন কোনো যন্ত্রাংশ নেই যা পাওয়া যায় না। ৯০ এর দশক ও পরবর্তীতে জমজমাট আকার ধারণ করা লোহাপট্টিতে বছরে অর্ধশত কোটি টাকার লেনদেন হতো। লক্ষ্মী আয়রন স্টোরের মালিক জয় ঢালী বলেন, লোহাপট্টিতে লোহার বেচাকেনা কমে যাওয়ায় আয় কমে গেছে। অন্যদিকে বাড়ছে দোকান ভাড়া ও অ্যাডভান্সের পরিমাণ। লোহার ব্যবসায়ীরা সেই টাকা দিতে পারছেন না।