May 20, 2025

বন্ধ সেই প্রাণ মুখরিত খুলনার জুট মিল

খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলের কর্মচাঞ্চল্যমুখর এলাকাটি এখন নীরব, নিস্তব্ধ। রতন কুমার মণ্ডল, বদলি শ্রমিক হিসেবে ১৯৮৬ সালে তিনি এই কারখানায় কাজ নেন। তাঁর মা–বাবাও শ্রমিক ছিলেন। কারখানা বন্ধের পর বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের কর্মচারী হিসেবে এখনো কাজ করছেন তিনি। স্মৃতিচারণা করে রতন কুমার বলেন, ‘ক্রিসেন্টের বিশাল মাঠে মাইক বাজিয়ে ফুটবল খেলা হতো। কত আনন্দ, কত উল্লাস! আমরা যেন স্বর্গে বাস করতাম। বাজারঘাট সব মিলের ভেতরে ছিল। এখন পোড়োবাড়ির মতো মনে হয়। গালে পানি দেওয়ারও মানুষ নেই।’

দৌলতপুরে আগে থেকেই পাটের বড় মোকাম থাকায় কাঁচামালের সহজলভ্যতা ও সুষম যোগাযোগের কারণে খুলনায় পাটকল স্থাপনের উপযুক্ত জায়গা হয়ে উঠেছিল। রেল যোগাযোগ, ভৈরব নদের যোগাযোগ সুবিধা ও নতুন চালনা বন্দর দিয়ে রপ্তানির সুযোগ নিয়ে খুলনা হয়ে ওঠে দেশের পাটশিল্পের বড় কেন্দ্র। একই কারণে ভৈরব নদের তীরে নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড কারখানা তৈরি হয়। সম্প্রতি ক্রিসেন্ট জুট মিল মসজিদের সামনে দিয়ে হাঁটছিলেন এক প্রবীণ। ১৯৬৭ সালে পিরোজপুর থেকে যখন তিনি কারখানায় আসেন, তখন তাঁর বয়স ১৭ কি ১৮। শ্রমিকদের সার্ভিস বুক রেকর্ড তৈরির কাজ করা এই প্রবীণের নাম মজিবর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের সব জেলার লোক এখানে কাজ করত। প্রচুর লোক। জমজমাট অবস্থা শ্রম দিয়ে যেন আনন্দ-ফুর্তি কেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *