মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হলেও কাজে লাগছে না কিছুই

আপাতত নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেশি দেশের বাজারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রধান অস্ত্র এখনো সুদের হার বৃদ্ধিকেন্দ্রিক। বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার কয়েক বাড়িয়েছে বেশ কয়েক দফা। তবে এ বৃদ্ধির একটা সীমা থাকা উচিত বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি কিছু নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে তা কোনো কাজে আসেনি। দেশে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কিন্তু অভন্তরীন কিছু সমস্যার কারনে আমদানি বাধাগ্রস্থ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে জানিয়েছেন উপরমহলের কর্মকর্তারা-
যেমন, অর্থ, বাণিজ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কৃষি, খাদ্যসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সমন্বয়ে একটি ক্ষমতা ধারী কমিটি গঠন করে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে বৈঠক ও দৈনিক নজরদারি করা। বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা এমন পরিস্থিতি তারা সামাল দিতে সক্ষম হন। অথবা চাহিদা ও জোগানের তথ্যের ভিত্তিতে নিত্যপণ্যের ঘাটতি নির্ণয় করা, আমদানিপ্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নছাহিদ। যে শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে কৃত্রিমভাবে সরবরাহ সংকট তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে সত্বর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সরবরাহব্যবস্থা ঠিক রাখার স্বার্থে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, পণ্য সংরক্ষণের অসুবিধাগুলো দূর করা এবং সুদের হার বৃদ্ধির মতো একচোখা নীতির পরিবর্তে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া।