আলু রফতানিতে সুখের মুখ দেখছে দেশ

বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম আলু উৎপাদনকারী দেশ। রপ্তানি করছে ২৬ বছর ধরে। গত বছর রপ্তানি নেমেছিল মাত্র ১২ হাজার টনে। বছর ঘুরতেই চারগুণ বাড়লো আলু রপ্তানি। এ বছরের রপ্তানি এখনো চলমান। মৌসুম শেষে রপ্তানির পরিমাণ ৬০ হাজার টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। আলু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জিল ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হায়দার বলেন, ‘এবার রপ্তানি বাড়ার প্রধান কারণ আলুর দাম কমে যাওয়া। তাছাড়া এবার আমদানিকারক দেশগুলোতে প্রচুর আলুর চাহিদা রয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার সুফলও পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। পাকিস্তান সেভাবে আলু রপ্তানি করছে না এবছর। সেই অর্ডারগুলো বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী পাকিস্তান।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি আলু রপ্তানি হয় মালয়েশিয়ায়। মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ যায় দেশটিতে। এছাড়া সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে আলু। বেশ আগে রাশিয়ায় আলু রপ্তানি হতো, তবে এখন সেভাবে ওই দেশে আলু যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪টি দেশে রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশের আলু। বিশ্বে আলু রপ্তানির গড় হার বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের আলু রপ্তানি উৎপাদনের অনুপাতে কখনো এক শতাংশও হয়নি। যে কারণে আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ সপ্তম হলেও দশটি রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো স্থান নেই।