স্বস্তি নেই আলু কেনা বেচাতেও, দাম ঊর্ধ্বমুখী
দৈনন্দিন জীবনে বেড়েছে আলুর দাম, বিগত দুই সপ্তাহে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে দুই মাস আগে পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বাজারে এর প্রভাব দেখা যায়নি; বরং দাম বেড়েছে। বর্তমানে হিমাগারে থাকা আলুর সরবরাহ শেষের দিকে। খুচরো বিক্রেতারা চাহিদা অনুসারে আলুর সরবরাহ পাচ্ছেন না। এ বছর অক্টোবর মাসে অতিবৃষ্টির কারণে আলুর বীজ রোপণে দেরি করেছেন কৃষকেরা। এতে বাজারে আগাম আলু আসতে দেরি হচ্ছে। এসব কারণে আলুর দাম বাড়ছে। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, ১৫ দিন আগে আলুর কেজি ছিল ৫৫-৬০ টাকা। বিভিন্ন বিক্রেতার থেকে জানা যাচ্ছে দাম বেশি থাকাই আলুর বিক্রিও আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের হিসাবে, গত বছর এই সময়ে খুচরা বাজারে আলুর কেজি ছিল ৪৫-৫০ টাকা, যা এখন ৬৫-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সে হিসাবে এক বছরে দাম বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। আলুর মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কিছু কারণের কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণত বছরের এ সময়ে বাজারে নতুন আলু আসতে শুরু করে এতে আলুর দামে ভারসাম্য থাকে। তবে চলতি বছর অক্টোবর মাসে অতিবৃষ্টির কারণে আলুবীজ রোপণে দেরি করেছেন কৃষকেরা। এছাড়াও আলু উৎপাদনের সরকারি-বেসরকারি তথ্যে গরমিল রয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক প্রজ্ঞাপনে আলুর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে। পাশাপাশি আলু আমদানিতে থাকা ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, হিমাগার থেকে আলুর কেজিতে বাড়তি যে লাভ রাখা হচ্ছে, তার পুরোটাই মজুতদারেরা নিচ্ছেন। গত বছর এমন সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তদারকির কারণে মজুতদারেরা এমন সুযোগ পাননি। এবছর সেটি লক্ষ করা যায়নি।