অস্তিত্বসংকটে ভুগছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, চিন্তায় সাধারণ জীবন

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া প্রায় ৬০০ বছর আগে কক্সবাজার থেকে ৮৬ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা একটি দ্বীপ। বাংলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ নানান প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। সারা দেশে এত উন্নয়ন, কিন্তু এ উন্নয়ন আজও স্পর্শ করেনি কুতুবদিয়াকে। চিকিৎসাসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাতায়াতব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। সূচনালগ্ন থেকেই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস গ্রাস করেছে এ উপকূলকে। ১৫৫৯, ১৭৯৫–এর ঘূর্ণিঝড়। কুতুবদিয়া বিখ্যাত বাতিঘরের জন্য। ১৮২২ সালে নির্মিত সেই ঐতিহাসিক বাতিঘর বিলীন হয় ১৯৬০–এর জলোচ্ছ্বাসে। কুতুবদিয়ার লাখো মানুষ আজও রাত্রি যাপন করছেন অনিশ্চয়তায়।
এ সংকটের মূলে রয়েছে স্থায়ী বেড়িবাঁধের অভাব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে সমুদ্রের পানির উচ্চতা, বাড়ছে দুর্যোগ। এ সময় সামান্য বৃষ্টিতে সাগরের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে একটু বাড়লেই যেসব বালির বাঁধ দেওয়া হয়, তা ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। দ্বীপের বেশির ভাগ মানুষ পেশায় কৃষক, লবণচাষি ও জেলে। এ পরিস্থিতিতে ফসলি জমি লবণাক্ত পানিতে নষ্ট হয়, পুকুরের মাছ মারা যায়, গাছপালা উজাড় হয়, লবণ চাষের জমি নষ্ট হয়। এ দ্বীপের দুই লাখ মানুষ চান তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা। এটা তাঁদের অস্তিত্বের লড়াই। তাঁরা চান যথাযথ উপায়ে কুতুবদিয়ার চারপাশে যেন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এ সমস্যার সমাধানে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেনাবাহিনীকে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দিতে হবে, যেন কাজটি দ্রুত হয় এবং কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন প্রভাব ফেলতে না পারে।