May 20, 2025

গত বছর পেঁয়াজ ছিল সোনার মতো এবছর রাস্তায় লুটাচ্ছে পেঁয়াজ

দেশে এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম, চট্টগ্রামের আড়তগুলো পেঁয়াজে ভরপুর। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ফুটপাতে পেঁয়াজ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে আড়তদারদের। চাহিদার চেয়ে বেশি সরবরাহ থাকায় পাইকারিতে দাম গত বছরের অর্ধেকেরও কম। সরকারি হিসাবে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন অন্তত চার থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন বেশি। তারপরও বিদেশ থেকে সাত-আট লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটাতে হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষণের অভাবসহ নানান কারণে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়। ফলে বাড়তি উৎপাদনের পরও চাহিদায় ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদ্য অবসরে যাওয়া ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ‘দেশে যত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তার ৩০-৩৫ শতাংশ নানান কারণে নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে সংরক্ষণের অভাবে পচে যায়। আবার হিমাগারে এক কেজি পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে ২০ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হয়। তার চেয়ে কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ আরও বেশি ভালো থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কমবেশি ৩০ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকে। উৎপাদন বেশি হলেও নষ্ট হওয়ার কারণে ৪-৬ লাখ টনের ঘাটতি তৈরি হয়। আমদানি করে এসব ঘাটতি মেটাতে হয়। আবার আমদানি করা পেঁয়াজেরও একটি অংশ পচে যায়, নষ্ট হয়ে যায়। তবে কৃষক পর্যায়ে পুরো বছর দাম নির্ধারণ করা গেলে, কৃষকরা উপকৃত হবে। এতে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *