May 13, 2025

আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানের ফলে লাভবান হচ্ছে গ্রামবাসী

নাটোর জেলার ছাতনী দিয়াড় ও মির্জাপুর দিয়াড় গ্রামে বছর দুয়েকের ব্যবধানে গড়ে উঠেছে চারটি বড় ধরনের পলিনেট হাউস। বিশেষ পলিথিন আর লোহার পাইপ-অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি ঘর ‘পলিনেট হাউস’ নামে পরিচিত। এসব ঘরে সারা বছরই চলে চারা উৎপাদনের মহাযজ্ঞ। পলিনেট হাউসে মানসম্মত চারা উৎপাদন করে তরুণেরা সাড়া ফেলে দিয়েছেন, পাশাপাশি অনেক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের পরামর্শে ২০২১ সালে প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। চার মাসে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়।

রাজীব জানান, রাজশাহী কৃষি প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালের শেষ দিকে তাঁকে একটি পলিনেট হাউস তৈরি করে দেয় কৃষি বিভাগ। মাত্র দুই লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ২০২৩ সালের শুরুতে সেখানে চারা উৎপাদন শুরু করেন। তার পলিনেট হাউসে নিয়মিত ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, টমেটো ও পেঁপের চারা উৎপাদিত হয়। মৌসুমভেদে করলা, স্কোয়াশ, তরমুজ ও শসার চারাও উৎপাদন হয়। রাজীব হোসেন জানান, বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি দামে বীজ কেনেন। তাতে ভালো চারা হয়। কৃষকেরা সেই চারা কিনে সফলতা পান।

জানা গেছে, রাজীবের নার্সারিতে সাতজন, ইলিয়াছের নার্সারিতে ১২ জন ও কদেরের নার্সারিতে পাঁচজন নিয়মিত শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় এলাকার আরও অনেকে নানা কাজের সুযোগ পান। তবে আগে দৃশ্যটি আলাদা ছিল জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, রাজীব-ইলিয়াছরা একসময় বেকার ছিলেন। কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা চারা উৎপাদন শুরু করে সফলতা পেয়েছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের জন্য তাঁদের পলিনেট হাউস তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *