May 20, 2025

ঢাকার সেই সুগন্ধি এখন দেশ জোড়া খ্যাত

পুরান ঢাকার মানেই ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির মেলবন্ধন। যার সঙ্গে জড়িয়ে শত শত বছরের ব্যবসা-বাণিজ্যও। নবাবি কিংবা ব্রিটিশ শাসনামলে অবাঙালিরা আসতো এখানে ব্যবসার পসার জমাতে। আর্মেনিয়ান চার্চ সংলগ্ন পুরান ঢাকার বাবুবাজার রোড থেকে মিডফোর্ডের দিকে যে সোজা রাস্তাটা চলে গেছে তার দু-পাশে রয়েছে কয়েকশ সুগন্ধির দোকান। কথা হয় কয়েকজন পুরোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে, তাদের কাছ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে সুগন্ধি ব্যবসা প্রায় শত বছরের পুরোনো। নানা রঙের কাচের বোতলে থরে থরে সাজানো সুগন্ধির এটিই ঢাকাসহ সারাদেশের একমাত্র পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র। ওটিস পারফিউম হাউজ মিটফোর্ড এলাকার প্রথম সুগন্ধির দোকান। ১৯৪৫ সালে ভারতের মাদ্রাজ থেকে আগত ব্যবসায়ী কেপি মুহাম্মদের হাতে যা প্রতিষ্ঠিত হয়। মুহাম্মদের বাবার কলকাতায় সুগন্ধির ব্যবসা ছিল।

সেখান থেকে ঢাকায় এসে ব্যবসার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি এখানে স্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করেন। ফরচুন বিজনেস ইনসাইটের তথ্যমতে, বৈশ্বিক পারফিউম বাজারের আকার প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০৩২ সালে যা ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘বাংলাদেশে পারফিউমের বাজার এখন প্রায় ১০০ কোটি টাকার অধিক এবং প্রতিনিয়ত এটি বাড়ছে। ধনিক শ্রেণির পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও এখন পারফিউম ব্যবহার করছেন। বাংলাদেশে বেশির ভাগ পারফিউম ভারত, ফ্রান্স, মধ্যপ্রাচ্য ও সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *